এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সঙ্গে সম্পৃক্ত রাঘববোয়ালদের মুখোশ উন্মোচনের পরিকল্পনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে পেছনের কারিগরদের নাম ও প্রমাণসহ দালিলিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে। ফলে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের নেতৃত্বদানকারী রাঘববোয়ালদের মুখোশ উন্মোচন করা যাবে বলে মনে করছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কত তাড়াতাড়ি সেটা বলা মুশকিল। তাদের (ভারত) কাছেও মামলা রয়েছে, সে বিষয়টিও দেখতে হবে।’
আমরা যদি পি কে হালদারকে আনতে পারি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাঘববোয়াল কারা কারা আছে, কে কে দায়ী সব জানা যাবে।’
আমরা বিশ্বাস করি পি কে হালদার একা এত বড় দুর্নীতি করতে পারেন না। কারও না কারও যোগসাজশ রয়েছে। কেউ অবশ্যই সহযোগিতা করেছে। কারা করেছে, তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করব। তাকে ফেরাতে দুদক যোগাযোগ করছে। তবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতের দূতাবাস এবং দুদকের অফিসাররাও তৎপর রয়েছেন। আশা করছি ভালো ফল পাব
দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক
পি কে হালদারের একার পক্ষে এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব নয়— উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পি কে হালদার একা এত বড় দুর্নীতি করতে পারেন না। কারও না কারও যোগসাজশ রয়েছে। কেউ অবশ্যই সহযোগিতা করেছে। কারা করেছে, তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করব। তাকে ফেরাতে দুদক যোগাযোগ করছে। তবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতের দূতাবাস এবং দুদকের অফিসাররাও তৎপর রয়েছেন। আশা করছি ভালো ফল পাব।’
পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদকের কোনো টিম ভারতে পাঠানো হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে টিম পাঠাব। তবে আমাদের আইন বিষয়টি পারমিট (অনুমতি) করে কি না, দেখতে হবে। আমরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। আমাদের সরকার এ বিষয়ে তৎপর। তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি। এছাড়া আমাদের লিগ্যাল ইউনিট রয়েছে, তারা আইনি প্রক্রিয়াগুলো দেখবে। কমিশন সব সময় সহযোগিতা করবে।’