কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ সকাল ৮টায়, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালেই ভোট দিয়েছেন নির্বাচনি মাঠে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা হেভিওয়েট তিন মেয়রপ্রার্থী।
সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
এ সময় তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর আসছে। তবে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ যা আছে তা বহাল থাকলে তিনি বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী বলেও জানান।
‘অন্য সব বিষয়’ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে ‘কিছু’ সমস্যা হচ্ছে বলে জানান কুমিল্লার দুবারের সাবেক এ মেয়র।
সাক্কু বলেন, ‘আমি তো ভোট দিয়া আইলাম। টিপ দিলে তো (প্রতীক) শো করবে, আপনি কাকে ভোট দিছেন শো করবে, কিন্তু এখানে শো করে না। একটা কেন্দ্রে গেছি, (প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে) বলছি। কাপ্তানবাজার গেছি… ছবি উঠে না। যারেই ভোট দেই ছবিডা তো উঠব, (কিন্তু) ছবিই উঠে না। শুধু ইভিএম পদ্ধতিতে একটু ত্রুটি হচ্ছে, এইডাই কথা, অন্য কিছু না।’
এক নজরে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
ভোটগ্রহণের সময়: বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।
ভোটার: ২,২৯,৯২০ জন (পুরুষ ১,১২,৮২৬; নারী ১,১৭,০৯২ এবং হিজড়া ২)।
ওয়ার্ড: ২৭টি সাধারণ, ৯টি সংরক্ষিত।
ভোটকেন্দ্রে: ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে হবে ভোটগ্রহণ।
প্রার্থী: মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা
প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫-১৬ জন নিরাপত্তা সদস্য।
পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য নিয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স থাকবে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে।
প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
রিজার্ভ ফোর্স থাকবে দুটি।
র্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবির ১২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ২৫ জন) সদস্য নিয়োজিত থাকবেন ভোটের মাঠে।
২৭ জন নির্বাহী হাকিম এবং ৯ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন ভোটের মাঠে।