ভ্যাট কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গতকাল শুক্রবার বাজারে কোথাও বোতলের গায়ে লেখা দামে, কোথাও গায়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে সয়াবিন তেল। কিছু ব্যবসায়ী দাবি করছেন, গায়ের দামেই তাঁরা কম্পানির কাছ থেকে কিনে আনছেন। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভ্যাট কমানোর ঘোষণার পর বাজারে তেলের দাম কমছে বলে শোনা যাচ্ছে—এমন মন্তব্যের জবাবে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দাম কমছে মানুষের মুখে মুখে।
বাস্তবে কমেনি। আমাদের গায়ের দামে কিনে গায়ের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ’
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়া হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বোতলজাত এক লিটার তেল ১৬৮ টাকা এবং পাঁচ লিটার তেলের দাম ৭৯৫ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি সুপার শপে
খোঁজ নিতে গেলে তারা জানায়, গায়ের দরেই বিক্রি করছে তেল। কিন্তু ছোট বাজার, পাড়ার দোকানে এক লিটারের বোতল সাত টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতল ২৫-৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে ভাটারা থানার ছোলমাইদ বাজারের মদিনা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়ে দেখা যায়, সয়াবিন তেল বোতলের গায়ের দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটার তীর কম্পানির তেলের দাম ৭৯৫ টাকা লেখা; দোকানি বিক্রি করছেন ৮২০ টাকায়। এক লিটার বোতলের গায়ে লেখা ১৬৮ টাকা; দোকানি নিচ্ছেন ১৭৫ টাকা।
বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে মদিনা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মো. জাহিদ বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) কম্পানির কাছ থেকে তেল নিয়েছি। কম্পানির লোকজন গায়ের দাম হিসাব করেই আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এখন আমরা কি লাভ ছাড়া বিক্রি করব? দোকানের কর্মচারী, ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ আছে তো, তাই কেনা দামে আমার পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব না। ’
এই বাজারের রাইসা-রাজ জেনারেল স্টোরে গিয়েও দেখা যায়, গায়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির দৃশ্য। দোকানের কর্মচারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কম্পানির লোকজন যদি আমাদের কাছ থেকে দাম কম না রাখেন তাহলে আমরা কিভাবে বিক্রি করব। কম্পানি দাম না কমালে বাজারে তেলের দাম কমবে না। ’
আবার গায়ের দামেই তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে ওই বাজারের চৌধুরী জেনারেল স্টোরের মালিক ইমাম হোসেনকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কম্পানির কাছ থেকে গায়ের দামে কিনে একই দামে বিক্রি করছি। মূলত আমার কাস্টমারগুলো ধরে রাখার জন্যই তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। ’
বাজারে তেলের সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তেলের দাম বেশি রাখারও কারণ নেই।